গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মীর বজলুর রহমান ও সাতখামাইর বিট কর্মকর্তা নোয়াব হুসেন শিকদার এবং গাজীপুর বিভাগীয় বন র্ককর্তা (ডিএফ ও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিমকে জড়িয়ে বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন পত্রিকায় সম্প্রতি ‘শ্রীপুরে বন দখলে সায় দিচ্ছে রেঞ্জার-ফরেস্টার, রোজ বাড়ছে দখল, নিচ্ছে না ব্যবস্থা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নিউজগুলো আমার দৃষ্টিগোছর হয়েছে। প্রকাশিত ওই সংবাদগুলোতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের জড়ানো হয়েছে।
সংবাদে উল্লেখ্য করা হয়েছে গাজীপুর বিভাগীয় বন র্ককর্তা (ডিএফ ও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম গত ২৮ মে শনিবার সন্ধ্যার পরে উপজেলার রেঞ্জ কর্মকর্তার অফিসে এসে সাতখামাইর বিট কর্মকর্তা নোয়াব হুসেনকে ডেকে প্রায় তিনঘন্টা গোপন বৈঠক করে চলে গেছেন। কথাগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ নিয়ে আমার বক্তব্য হল: মূলত সেদিন ডিএফও স্যার শ্রীপুরে এসেছিলেন উপজেলার বিভিন্ন বিটের সুফল প্রকল্পের বাগান পরিদর্শন করতে। দিনব্যাপি পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যার দিকে তিনি বিভিন্ন বিট কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক মতবিনিময় সভা শেষ করে চলে যান।
সংবাদে আরো উল্লেখ্য করা হয়েছে বিট কর্মকর্তা ও রেঞ্জ কর্মকর্তার যোগসাজশে উপজেলার ছাতির বাজার, টেপিরবাড়ি ও তেলিহাটিতে গেজেটের জমি দখল করে নতুন স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আমার বক্তব্য হল: উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মীর বজলুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিদের্শে রেঞ্জ কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রায় সময়ই দখলকৃত বনের জায়গা উদ্ধারের জন্য অভিযান চালায়। বনের জায়গা দখল হচ্ছে এমন সংবাদ শোনা মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে দখলকৃত জমি উদ্ধারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। সফল অভিযান চালিয়ে চলে আসি।
গত ৮ জুন টেপিরবাড়ি ৯নং মৌজায় সংবাদ আসে শারফিন, শফিক, কামরুল ফকির, আলআমিন ফকির ও রানা ফকির গেজেটভুক্ত জমিতে নতুন করে স্থাপনা নির্মাণ করছে। এমন সংবাদে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই এবং নির্মাণাধীন স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেই। এবং কী গত দুইদিন ধরে সেখানে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। ভুক্তভোগিদের দাবী এ জমি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। এ নিয়ে ২০১১ সালে আদালতে তারা দেওয়ানি মামলাও করেছেন। বর্তমানে মামলাটি চলমান।
এছাড়াও রইজ উদ্দিন, পারভেজ, মিন্টু, সাহিদা আক্তার হারুন, আফির উদ্দিন, কুদ্দুস আলী হাজী, নাজিম উদ্দিন পাঠান, সাহিদা আক্তারসহ আরো অনেকের স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং নতুন করে স্থাপনা নির্মাণ না করতে সকলকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
আমাদের যোগসাজশে বিন্দুমাত্র অনৈতিক কিছুই হচ্ছে না। এসব ঘটনায় আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমাদের ওপর দায় চাপিয়ে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে এবং আমাদের চাকরি জীবনের সুনাম ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার জন্য আমাদের সম্পর্কে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। মূলত স্বার্থন্বেষী ওই মহল আমাদের হেয় করে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে সম্মানেরহানী করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি।
প্রতিবাদকারী :
নোয়াব হুসেন শিকদার
বিট কর্মকর্তা, সাতখামাইর
শ্রীপুর, গাজীপুর।