শ্রীপুর বার্তা ডেস্ক
গাজীপুরের শ্রীপুরে শাকিল মাহমুদ নামে এক দোকান কর্মচারীকে জিম্মি করে চেক ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার প্রাণকেন্দ্র মাওনা চৌরাস্তায় রাসেল মাহমুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘মাওনা ডোর সেন্টার’ এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যপারে শ্রীপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের পাথার পাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে রাসেল মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মাওনা ডোর সেন্টারের কর্মচারী শাকিল মাহমুদ সকালে দোকান খোলার উদ্দেশ্যে দোকানের একটি শার্টার খোলা মাত্রই চকপাড়া গ্রামের আকবর হোসেনের ছেলে আরজু মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫জন বিবাদী মটর সাইকেল যোগে দোকানের সামনে এসে দাড়াঁয় এবং দোকানের ভেতর ঢুকে পড়ে এতে কর্মচারী শাকিল বাঁধা দিলে শাকিলের মুখ চাপা দিয়ে দোকানের পেছনে নিরিবিলি যায়গায় নিয়ে ছুরি বাহির করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে জিম্মি করে এবং প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ ড্রয়ারের চাবি নিয়ে আরজু মিয়া মাওনা ডোর সেন্টারের নামে দুইটি চেক বই থেকে তিনটি পাতা ছিড়ে নিয়ে যায়।
কর্মচারী শাকিল মাহমুদ জানান, সকালে দোকান খোলার উদ্দেশ্যে দোকানের ম্যানেজার আরিফ মিয়ার কাছ থেকে চাবি নিয়ে দোকানে আসি। দোকানের একটি শার্টার খোলা মাত্রই মটর সাইকেল যোগে এসে আমাকে জিম্মি করে দোকানের নামের দুইটি চেক বই থেকে তিনটি পাতা ছিড়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনা কাউকে যেন না বলি বললে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
মাওনা ডোর সেন্টারের মালিক রাসেল মাহমুদ বলেন, আরজু মিয়া মূলত একজন প্রতারক। সে দুই নম্বর ইটা,বালুর ব্যবসা করে থাকেন । মানুষকে এক নম্বর ইট ও বালু দেওয়ার কথা বলে টাকা নিলেও পরে সে দুই নম্বর ইট, বালু দিয়ে প্রতারণা করে আসছে। আমার সাথেও আরজু মিয়া ইট, বালু নিয়ে প্রতারণা করেছেন। আমাকে এক নম্বর ইট, বালু দেওয়ার করে বলে মোটা অংকের টাকা নিয়ে পরে তিন নম্বর ইট, বালু দিলে আমি সেই মাল গ্রহণ না করে টাকা ফেরত চাইলে এ নিয়ে আমার সাথে শক্রতার সৃষ্টি হয়। আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন। সেই রেশ ধরে গত ২৪ জানুয়ারি সকালে আমার দোকান কর্মচারীকে একা পেয়ে গলায় ছুরি ধরে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মাওনা ডোর সেন্টার নামের যমুনা ব্যাংক লি: মাওনা শাখায় একাউন্ট নং-০৩২০২১০০০০৮৩৮ একটি চেক যার নম্বর: ৮৭০৭০২৫, একাউন্ট নম্বর-০৩২০১৩৪০০১০৯৯ দুইটি চেক যার নম্বর: ০০৬৫০৪০০৬৬৫০৬, বই থেকে আমার স্বাক্ষরিত সাদা তিনটি পাতা ছিড়ে নিয়ে যায় । এ ব্যাপারে ২৪ জানুয়ারী শ্রীপুর থানায় একটি অভিযোগ করি এবং গাজীপুর বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেক উদ্ধারের জন্য একটি মামলা দায়ের করি । এবং মাওনা ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর একটি অভিযোগ দিলে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকন একাধিকবার আরজুকে পরিষদে হাজির হওয়ার নোটিশ দেন। নোটিশে বিবাদী পক্ষ কর্ণপাত না করে পরিষদে হাজির না হয়ে উল্টো আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।
পরে গত ১৭ মে পরিষদ থেকে শালিসী একটি প্রতিবেদন দেয়া হয় সেখানে রাসেল মাহমুদ আরজুর বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ তুলেছেন সব সত্য এবং ন্যায্য প্রতিকার পেতে বাদীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ প্রদান পূর্বক প্রতিবেদন প্রদান করা হয়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আরজু মিয়া বলেন, রাসেলের আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ।